পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে কাউন্টি খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এরপর জাতীয় দলের জার্সিতে নামেন চেন্নাই টেস্ট খেলতে। ম্যাচের মধ্যেই ভারতীয় ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক জানান, সাকিবের আঙুলে ইনজুরি রয়েছে। যে কারণে তার খেলতে অসুবিধা হচ্ছে। বোর্ড শুরুর দিকে ওই তথ্য সঠিক নয় বলে জানায়।
তবে চেন্নাই টেস্টের পরে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচের আগে ইনজুরি ছিল না সাকিবের। ম্যাচ চলাকালে পুরনো ব্যথায় নতুন করে আঘাত পেয়েছেন তিনি। ওই ইনজুরি খুব গুরুতর নয় বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছেন, ফিজিও সাকিবকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। কানপুর টেস্টে তার খেলা নির্ভর করছে ফিজিও রিপোর্টের ওপর।
সোমবার হান্নান সরকার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘সাকিবের হাতের একটা ব্যাথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটা ম্যাচের আগে ছিল না। ম্যাচের আগে আমরা ফিজিও’র মত নিই, তার ব্যাপারে আমরা ১০০ ভাগ পরিষ্কার ছিলাম। ওই জায়গা থেকে সাকিব ১০০ ভাগ ফিটই ছিল। এটাকে সরাসরি ইনজুরি বলা যাবে না। পরের টেস্টের আগে আমাদের হাতে কিছুদিন সময় রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণ করবো। এই দুই দিনে তার ফলোআপের জায়গা রয়েছে। মাঠে নামার পর সাকিব ও ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে একটা ফিডব্যাক নেব।’
সাকিব থাকলে একাদশ সাজানো সহজ হয় বলেও উল্লেখ করেছেন হান্নান সরকার। এমনকি সাকিব শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবে কিনা তাও দেখবেন বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচক, ‘যদি সে মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে তাকে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলাবো কিনা চিন্তা করবো। সাকিব দলের সেরা খেলোয়ড়, এটা বলতেই হবে। দলের ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট সে। ব্যাটিং-বোলিং দুই অংশ থেকেই তাকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবো আমরা।’
টেস্টে দেশের সেরা বোলার তাইজুল ইসলাম। টেস্ট খেলুড়ে এই দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট তার। কিন্তু পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও ম্যাচ পাচ্ছেন না তিনি। তাইজুলকে দলের সেরা টেস্ট বোলার মানছেন হান্নান সরকারও। কিন্তু দলের সমন্বয়ের কারণে খেলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন, ‘সাকিব থাকলে আমরা ৮ ব্যাটার পাই। তাইজুল খেললে ব্যাটার হয় ৭জন। তখন ব্যাটিংয়ে দুর্বলতা থেকে যায়। সাকিব বোলিং খারাপ করছে এমন না। তাইজুল টেস্টে আমাদের সেরা বোলার। সে নিজেও জানে যেকোন সময় সে ম্যাচ খেলতে পারে। পরবর্তী ম্যাচে টিম কম্বিনেশন ওপর নির্ভর করে তাইজুল বা নাঈমের একজন খেলতে পারে।’