দশ বছরের ক্যারিয়ার তাইজুল ইসলামের। টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে খেলেও এই দশ বছরে মাত্র ৪৮টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার। তাতেই দেশের দ্রুততম ও দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।
তাইজুল বেশি টেস্ট খেলতে না পারার কারণ সাকিব আল হাসান। দু’জনই বাঁ-হাতি স্পিনার। অলরাউন্ডার বিবেচনায় বরাবর একাদশে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছেন সাকিব। নিঁখাদ স্পিন উইকেট হলে দু’জন একসঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।এখন সাকিব টেস্ট দলে না থাকায় নিয়মিত সুযোগ পাবেন তাইজুল। এই সুযোগে যেমন উচ্ছ্বসিত নন বাঁ-হাতি ৩২ বছর বয়সী স্পিনার তেমনি সাকিবের ছাঁয়ায় থাকায় আক্ষেপও নেই তার। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া এই স্পিনার।
তাইজুল বলেন, ‘সাকিব ভাই দলে থাকলেও তার কারণে উইকেট পাই, না থাকলেও তার কারণে উইকেট পাই। খেলি তো আমি। সাকিব ভাইয়ের কারণে খেলতে না পারায় কোন আক্ষেপ নেই। বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে পেরেছি এতেই ভালো লেগেছে।’টেস্টে সাকিব না থাকলে স্পিন বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার পড়ে তাইজুলের ওপর। আবার সাকিব থাকলে প্রতিপক্ষের চাপে পড়ার সুযোগ নিয়ে উইকেট পেয়েছেন তিনি। তাইজুল তাই মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাকিবকে ছাড়াও টেস্ট জিতেছেন তারা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ও ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর কথা স্মরণও করিয়ে দেন।
তার মতে, একটা খেলোয়াড় তো ৫০ বছর খেলবে না। তাদের চলে যাওয়া মেনে নিতে হবে। প্রার্থনা করতে হবে যেন তাদের মতো কেউ আবার জাতীয় দলে আসে। এছাড়া স্টার শব্দেও তিনি খুব একটা বিশ্বাস করেন না। তার চোখে, অনেকে ট্রলের শিকার হতে হতে তারকা বনে গেছেন, ‘আমাদের দেশে অনেক কিছু মুখে মুখে হয়। অনেকে আছে খারাপ করেও ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে। অনেকে ভালো করেও স্টার হতে পারে না। আমি এগুলো মেনে নিয়েছি।’