পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচার মুস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে তাকে কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে শামসুল হক টুকুর জামিন আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বেড়া পৌরসভার বৃশালিখা মহল্লার ব্যবসায়ী মির্জা মেহেদি হাসান বাদী হয়ে গত বছরের ১ নভেম্বর পাবনার আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ভাই সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, টুকুর ছেলে সাবেক পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৬ মে অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ অন্যরা ব্যবসায়ী মির্জা মেহেদি হাসানের মার্কেট, জমি দখলসহ চাঁদাবাজি করেছিলেন। এ ছাড়া সরকারের পটপরিবর্তনের পরে গত বছরের ১০ ও ১২ সেপ্টেম্বর টুকুর দোসররা একইভাবে চাঁদাদাবিসহ ওই জমিতে যেতে দেননি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শামসুল হক টুকুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, এই মামলা শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে শামসুল হক টুকু জড়িত ছিলেন না। আমরা জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।