শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের এই অনশনে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ ছাত্রদলের। তবে ছাত্রলীগের দাবি উল্টো। তারা বলছে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই প্রথমে ছাত্রলীগকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে শহরের শহীদ খোকন পার্কে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মোট সাতজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন উভয় দলের নেতারা।
জানা গেছে, শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদল শহরের শহীদ খোকন পার্কে সকাল ৯টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করে।
ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করে জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পার্কে ঢুকে অনশনরত নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে পার্ক থেকে বের করে দেয়। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নবাববাড়ি সড়কের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। কয়েকজন সদর পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানে ঢুকে পুলিশের সামনেই তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে রেখে যায় বলে ছাত্রদলের অভিযোগ।
তবে পুলিশ ফাঁড়িতে এবং পুলিশের সামনে মারধরের বিষয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির কোনো সদস্য কথা বলতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ ঘটনার ১০ মিনিট পর অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লাঠি হাতে নবাববাড়ি সড়ক হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসে। সেখানে টানানো ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে তারা। তাদের এ সময় বিএনপি ও ছাত্রদল বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। লাঠি হাতে ছাত্রলীগ কর্মীদের এই মহড়াকালে পেছনেই ছিল পুলিশ। ঘটনার সময় পুলিশকে নীরব দেখে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় লাঠি হাতে মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, আশিস শেখ, আহাদ, তোফায়েল আহম্মেদ তোহা, আবু নাসের, হাসান প্রমুখ।
তবে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ পুলিশের সামনে লাঠি নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মহড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এমন তথ্য সঠিক নয়। ‘
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান রিগ্যান বলেন, ‘ছাত্রলীগ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আমরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে চলে এসেছি। সেখানেও তারা হামলা চালিয়েছে। ‘
জেলা ছাত্রলীগের সদ্যোবিদায়ি সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলার খবর শুনে পার্ক এলাকায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় কতিপয় ছাত্রদলের নেতা কোমরে রাখা অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। ‘
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পিএসএন/এমআই