সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আইনজীবীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির আইনজীবীদের অভিযোগ, বার অ্যাসোসিয়েশন ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী এওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান আছেন। এরপরও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা জোড় করে নতুন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাকে ঘোষণা করেন। অজিউল্লাহ ও শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তৃতীয় তলার দরজার তালা ভেঙে কনফারেন্স কক্ষে ঢুকে ভোট গণনা শুরু করে। এ সময় নবনির্বাচিত সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির তাদের সঙ্গে ছিলেন। আর কক্ষের বাইরে অবস্থান করছেন আইনজীবীরা।
অন্যদিকে, বিএনপিপন্থিরা কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে রুমের জানালা ভাঙচুর করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ নিজেই সংবাদ সম্মেলন করেন
তিনি জানান, আমাকে (অজিউল্লাহকে) গত (১২ এপ্রিল) সুপ্রিমকোর্ট বারের ১৫ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটের করণীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। তারই আলোকে ফলাফল বুধবার ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বারের ১৫ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়নি এবং নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী এওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান রয়েছেন। তিনি আবারো আসবেন। আর নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহকে ঘোষণা করা বে আইনী। এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত বারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৩ তম সভার পরে আর কোনো সভা হয়নি। তার মানে ১৪ তম সভা না করে ১৫ তম সভা কী করে হয়।
এর পরেই দুপুর ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের পিছনে জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। এর আগে থেকেই ওই কক্ষের সামনে ছিলেন বিএনপির আইনজীবীরা।