বলিউড অভিনেত্রী কুবরা সাইতের অভিনয় জগতে অভিষেক হয় একটু দেরিতেই। প্রথম জীবনে তিনি চাকরিজীবী ছিলেন। অভিনয় ছিল তার ভীষণ শখের। অবশেষে সেই শখকেই প্রাধান্য দিয়ে চাকরি ছেড়ে মুম্বাইতে পাড়ি জমান।
তারপর বহু বছর কুবরা বলিউডে নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করেছেন। কাজ করেছেন নামজাদা অভিনেতাদের সঙ্গে, কিন্তু প্রচারের আলো পড়েনি তার গায়ে। তবে ‘সেক্রেড গেমস’-এ অভিনয় করে রাতারাতি তুমুল জনপ্রিয়তা পান এ অভিনেত্রী।
বছর তিনেক আগে এ অভিনেত্রী নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মাত্র ৩০ বছর বয়সেই গর্ভপাত করাতে হয় তাকে। সেটাও আবার এক রাতের পরিচিতের কারণে। যদিও এই ঘটনা মানুষ হিসেবে তাকে শক্তিশালী করেছে। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করেছে এই ঘটনা। কোনো অনুতাপ নেই অভিনেত্রীর।
২০১৩ সালে আন্দামান ঘুরতে যান অভিনেত্রী। সেখানেই স্কুবা ডাইভিং করেন। তারপর বেশ কয়েক পাত্র মদ্যপান করে এক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। এর দিনকয়েক বাদেই জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। জানার পর কষ্ট হয়েছে, হতাশা বোধ হয়েছে। তবে সেই সময় মা হওয়ার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সেই পুরুষ তার প্রেমিকও ছিলেন না। মাত্র এক রাতের আলাপ। তাই গোটা বিষয়টিই তাকে একলা সামাল দিতে হয়।
কুবরা বলেন, আমি সেই সময় খুব হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। তবে একটা কথা বলতেই হবে, যা করেছি একা করেছি। কাউকে জানতে দিইনি। মানুষ হিসেবে বড্ড অপরাধবোধ হচ্ছিল কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল তেমন নয়। আবার সেই সময় খুব যে শক্ত মনে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম তা নয়। তবে সে দিনের নেওয়া সিদ্ধান্তই যেন মানুষ হিসেবে দৃঢ়চেতা করেছে আমাকে।
বয়স চল্লিশ হতে চললেও সিঙ্গেল জীবনযাপনকেই বেছে নিয়েছেন কুবরা সাইত। এক সময় এক ধনকুবেরের সঙ্গেও ছিল তার সম্পর্ক। ২০১৬ সালে নিজেই জানিয়েছিলেন সেই সম্পর্কের কথা। কিন্তু বিচ্ছেদ হয় মর্মান্তিক ভাবেই। মারাত্মক দুর্ঘটনায় মারা যান তার প্রেমিক।