আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের মাটি কেটে নতুন ভবনের ভিটি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মাঠে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঁচ কক্ষের দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ওই বছরের ১ অক্টোবর কার্যাদেশ পায় মেসার্স তানহা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুল কালাম মিলন কাজটি বিক্রি করে দেন স্থানীয় ঠিকাদার নুরুল ইসলামের কাছে। ২০২৪ সালের ১ জুলাই কাজটি শেষ করার কথা। ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। বাড়তি সময়ে কয়েকটি পিলার ছাড়া আর কোনো কাজ না করলেও ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ টাকার বিল তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে ঠিকাদার প্রধান শিক্ষক শাহিনা বেগমকে ম্যানেজ করে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের ৮-১০ ফুট গভীর করে মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি ভরাট করেন।
গর্তের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তারা মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলাধুলা কিংবা চলাচল করতে পারছে না।
জমিদাতা মো. ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারকে স্কুলের মাঠের মাটি কেটে ভবনের ভিটি ভরাটের অনুমতি দিয়েছেন। এতে শত শত শিক্ষার্থীর জীবন এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কোনো শিক্ষার্থী গর্তে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর জন্য প্রধান শিক্ষক দায়ী থাকবেন।
টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শাহিনা আক্তার বলেন, ভবনের ভিটি ভরাটের জন্য কোথাও মাটি না পাওয়ায় ঠিকাদারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সাব-ঠিকাদার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটা হয়েছে। কাজ শেষে আবার মাঠের গর্ত দ্রুত ভরাট করে দেব।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, স্কুল মাঠের মাটি কাটার অনুমতি দেওয়ায়
বুধবার সকালে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
Leave a comment