গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছয়দানার হাজির পুকুর এলাকার একটি বাসা থেকে তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন, তাদের হাতে ছিল বিদ্যুতের তার। পুলিশের ধারণা তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে দক্ষিণ ছয়দানার হাজির পুকুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় তারা হলেন— সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার সিমলা গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ (২৫) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার বীরপুরন্দ গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে শ্যামলী আক্তার (২৭)।
গাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, শ্যামলীর স্বামী ও সন্তান আছে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিল্লালের বাড়িতে বাসা ছিলেন তিনি। সেখানে চাকরি করার সুবাদে দর্জি মোহাম্মদ বিল্লাল শেখের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
তিনি আরও বলেন, রান্না ঘরের বিদ্যুতের লাইন থেকে অতিরিক্ত একটা তারের মাধ্যমে লাইন নিয়ে মেয়েটির বাম হাত ও ছেলেটির ডান হাতে পেঁচানো ছিল, তারা একজন অপরজনকে জড়িয়ে ছিলেন। তাদের শরীরে আর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সড়ক বিভাজকের ওপরে মরদেহ
এ দিকে সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের ওপর এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই যুবকের নাম আবু বক্কর। ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার গরজা গ্রামের আব্দুল জলিলের সন্তান তিনি।
আবু বক্করের ভাই আ. হালিম বলেন, তারা দুই ভাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার এলাকার ফুটওভার ব্রিজে থেকে আশপাশের এলাকায় বোতল সংগ্রহ করতেন। তার ছোট ভাই আবু বক্কর মানসিক রোগী ও মাদকাসক্ত ছিলেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।