দীর্ঘ বিরতির পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। সবশেষ গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সে বিশ্বকাপে সাবেক হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের খবর আলোচিত হয়। এমনকি নাসুমের সঙ্গে অসদাচরণের জন্যই শেষ পর্যন্ত বিসিবির চাকরি হারাতে হয়েছে ওই লংকান কোচকে।
অবশেষে হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর আবার জাতীয় দলে ফিরলেন নাসুম। তাকে আফগানিস্তান সিরিজে ডাকার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘নাসুম সর্বশেষ বিশ্বকাপে ছিল। মাঝখানে খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি বাংলাদেশ। সাকিব থাকলে হয়তো বাঁহাতি স্পিনের জায়গাটা ভিন্ন হতে পারত। আমাদের বাঁহাতি স্পিনে তানভীর ও নাসুমকেই মূল বোলার মনে করি। রাকিবুলের আরও সময় দরকার।’
এক্ষেত্রে শারজাহর উইকেটও নাসুমের ফেরার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, ‘নাসুম কঠোর পরিশ্রম করছে। কম্বিনেশনের জন্য তাকে রাখা। যদি উইকেটের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমরা কোনো কারণে যদি তিন পেসার না খেলিয়ে তিন স্পিনার খেলাই, তাহলে মিরাজ ও রিশাদের সঙ্গে নাসুমের সুযোগ থাকতে পারে।’
এদিকে নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকেই আফগানিস্তান সিরিজে অধিনায়ক করেছে বিসিবি। তবে অধিনায়ক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের নয় জানিয়ে লিপু বলেছেন, ‘এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে নির্বাচকদের কিছু না বলাই ভালো। সে অধিনায়ক ছিল। তাকেই রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কথা বলাটা সমীচীন মনে করি না।’
প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন দীর্ঘদেহী পেসার নাহিদ রানা। তাকে দলে রাখার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘হাসান মাহমুদের ওয়ার্ক লোডের কারণে তাকে রাখা হয়নি। তানজিমের কাঁধে চোট আছে। আর আমরা নাহিদ রানাকে দেখতে চাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এই সিরিজটা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা আছে আমাদের। আমরা এর আগে তাকে ওয়ানডেতে দেখিনি। এখান থেকে দেখতে চাই। আমরা আশা করছি সে ভালো করবে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৯ ও ১১ নভেম্বর যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।