ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ছোড়া ঝাঁকে ঝাঁকে গোলার আঘাতে ইসরায়েলে অন্তত দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো।
জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে গাজা সীমান্ত থেকে অর্ধ-শতাধিক মর্টার নিক্ষেপ করেছে হামাস। এতে ইসরায়েলের এশকোল অঞ্চলে দুই থাই নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ছোড়া গোলার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক ইসরায়েলি সেনাও। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলা কিছুটা কমলেও বেড়েছে মর্টার হামলা। এদিন গাজা সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের আশদুদ, আশকেলন ও বীরশেবা অঞ্চল লক্ষ্য করে কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বলেছেন, গাজা উপত্যকায় তাদের এখনো কয়েক হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো বাকি।
তিনি বলেছেন, হামাসের ওপর হামলা চালানোর আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর। সেখানে দীর্ঘস্থায়ী স্তব্ধতা না আসা পর্যন্ত হামলা চলবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার টানা নবম দিনের মতো ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলিরা। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬১ শিশুসহ ২১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি।
এর জবাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ জনে, আহত হয়েছেন তিনশ’ জনেরও বেশি।