ভারতের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ঘটনা। বাংলাদেশি বোলার নাহিদা আক্তারের ফুল লেংথ বল সুইপ করার চেষ্টা করেন হারমানপ্রিত কউর। কিন্তু পারেননি ঠিকঠাক। বল তার প্যাডে লেগে চলে যায় স্লিপে। সেখানে থাকা ফাহিমা খাতুন ক্যাচ নিয়ে মেতে ওঠেন উল্লাসে। আম্পায়ার তানভির আহমেদও আঙুল উঁচিয়ে দেন আউট। ঘটনার শেষ হতে পারত এখানেই। কিন্তু না আউটটা কিছুতেই মানতে পারলেন না ভারতীয় অধিনায়ক। আম্পায়ারের আউট দেওয়া দেখে মেজাজ হারান তিনি। নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ব্যাট দিয়ে আঘাত করে ফেলে দেন স্টাম্প। সেই সঙ্গে উইকেটে দাঁড়িয়ে কথা শোনান আম্পায়ার তানভীর আহমেদকে।
অপরদিকে এই ঘটনার জের চলে যায় ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে ফটোসেশনেও। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি খেলা থেকে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। এমনকি ক্রিকেটের বাইরেও যে ধরনের আম্পায়ারিং হচ্ছে তাতে আমরা খুবই অবাক হয়েছি। পরের বার যখন আমরা বাংলাদেশে আসব আমরা নিশ্চিত করব যে আমাদের এই ধরনের আম্পায়ারিং মোকাবেলা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের প্রস্ততিও নেব।’
এছাড়া ম্যাচের ফটোসেশনেও হারমানের কথা শুনে গ্রুপ ছবি তুলেননি জ্যোতি। এ নিয়ে টাইগ্রেস অধিনায়ক বলেন, ‘কিছু কথা সবসময় তো আর সবকিছু বলা যায় না। যা হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়নি দল নিয়ে ওখানে থাকবো। আমি চলে এসেছি।’
‘কিছু কথা ছিল যেগুলো শুনে আমার মনে হয়নি ওখানে থাকা উচিত হবে দল নিয়ে। ক্রিকেট খুবই সম্মানের একটা জায়গা, শৃঙ্খলার জায়গা। সবচেয়ে বড় কথা এটা জেন্টেলম্যান গেম। আমার কাছে মনে হয় ওই পরিবেশ ছিল না তাই দল নিয়ে চলে এসেছি।’
এমন হারমানপ্রীতের অসম্মান জনক আচরণে অভিযোগ নিয়ে নিগার বলেন, ‘এটা ম্যাচের বাইরের ঘটনা তাই এ নিয়ে আর অভিযোগ দিচ্ছি না। ম্যাচে যা হয়েছে তা দেখে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত তো নেবেনই।