শহরে হালকা শীত পড়েছে। সকাল ও সন্ধ্যার দিকে শীতটা ঠিকই অনুভব করা যায়। যেহেতু এখনো ভারি শীত পড়েনি, তাই উলের পোশাক পরা জুতসই হবে না। তাহলে এ সময়ে আরাম পেতে কোন ফেব্রিকের পোশাক পরবেন?
ডিজাইনাররা মনে করেন, হালকা শীতের জন্য আদর্শ ফেব্রিক হলো কটন। এটি ত্বকে আরাম দেয়, এবং শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে। কটনের সোয়েটার, হুডি বা টিশার্ট এ সময়ের জন্য খুব আরামদায়ক। পলিয়েস্টার ও সিন্থেটিক মিশ্রণ ফেব্রিক হালকা শীতে দ্রুত শুকানোর জন্য বেশ উপযোগী। এগুলোর রং সহজে নষ্ট হয় না এবং ভাঁজ পড়ে না, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক।
মাঝারি উষ্ণতার পোশাক অর্থাৎ পলিয়েস্টার, সুতি, খাদি, ভিসকস, ফ্লানেল, ডেনিম, মিক্সড কটনের হালকা ভারী ও ফুল হাতার পোশাক এ সময়ের জন্য জুতসই। শীতের শুরুতে ছেলেদের আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল লুকের জন্য সংগ্রহে রাখতে পারেন এমন পোশাক, যা শুধু তাপমাত্রা ধরে রাখে না, বরং আপনার ব্যক্তিত্বেও নতুন মাত্রা যোগ করে।
ফ্লিস ফেব্রিক হালকা হলেও যথেষ্ট উষ্ণতা ধরে রাখে এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ফ্লিসের পোশাক যেমন- হুডি ও সোয়েটশার্ট তাই বেশ জনপ্রিয়। কম শীতের জন্য পাতলা উলের সোয়েটার বা কার্ডিগান বেছে নেওয়া যেতে পারে। ট্রাউজার বা জ্যাকেটের জন্য ডেনিম একটি ভালো অপশন হতে পারে, যা শীতল পরিবেশেও আরামদায়ক।
টুয়েলভ ক্লদিংয়ের ডিজাইনার সুমন সূত্রধর বলেন, ‘হালকা শীতে ফ্লানেল শার্ট, ফুল-স্লিভ শার্ট, ফুল হাতার গেঞ্জি-পলো বা টি-শার্ট বেছে নিতে পারেন। স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রে শার্টের নিচে টি-শার্ট পরা যেতে পারে। হালকা শীতে ওভারসাইজড টি-শার্টও পরা যায়। সলিড রঙের সোয়েটার বা হুডি হালকা শীতের জন্য উপযুক্ত। সোয়েটার বা জ্যাকেটের গলা ও হাতার কাটে ভিন্নতা এনে স্টাইল করা যেতে পারে। ভি-নেক, ক্রু-নেক কিংবা টার্টলনেক ডিজাইন ভালো মানাবে। এটি ক্লাসিক লুক দিবে। শার্টের উপর সোয়েটার কিংবা জ্যাকেটের লেয়ারিং করলে মানানসই ও ট্রেন্ডি লুক পাওয়া যায়।