অবশেষে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এ চুক্তির ব্যাপারে তিনি সম্মত। তবে এটি অবশ্যই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় পাস হতে হবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা। এটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাতত এ বিরতির মেয়াদ হবে দুই মাস। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। সব ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেবেন। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।
মূলত বাইডেন ও মাখোঁর উদ্যোগ আর প্রচেষ্টার ফল সম্ভাব্য এ যুদ্ধবিরতি। তবে যেহেতু ওই অঞ্চলের অবস্থা এমন, যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন করে দিতে পারে। এ জন্য দুই দেশই এ ইস্যুতে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করছে।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। তবে সবকিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু হয়েছে– সেটা বলা যাবে না।
এর আগে সোমবার রাতে লেবাননের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। তখন থেকেই হামাস ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় হিজবুল্লাহ। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি তীব্র হয়ে ওঠে। ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে এবং হিজবুল্লাহর কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে। নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ হাজার ৭৬৮ জন নিহত হয়েছেন।
গাজায়ও নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের উপত্যকায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ২৪৯-এ।