কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় আসা বিলাসবহুল ১১০টি গাড়ি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩ ও ৪ নভেম্বর এই গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, নিলাম থেকে কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে টেন্ডার জমা দিতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও মোংলায় কাস্টমস অফিসে রাখা টেন্ডার বাক্সে টেন্ডার আবেদন খামবন্ধ অবস্থায় জমা দিতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কিংবা চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়েসবাইটে নিলাম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া আগ্রহী কেউ গাড়ি দেখতে চাইলে জাতীয় পরিচয় কিংবা পাসপোর্টের ছবিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে আগে থেকে পাস নিতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের তিনদিন আগে আবেদন করতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭, ২৮ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এবার অনলাইনে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন ক্রেতারা। এজন্য ১৮ অক্টোবর সশরীরের বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্ব বোর্ড ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের ওয়েবসাইটে নিলামে তোলা পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ দুই-একদিনের মধ্যে আপলোড করা হবে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নিলামে তোলা হচ্ছে এসব গাড়ি। এর আগে চারটি নিলামে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি।
পর্যটক সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকেরা। বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় গাড়িগুলো। কারণ শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে কড়াকড়ি আরোপ করে কাস্টমস। ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে খালাসের শর্ত আরোপ করার পরই খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকেরা।
নিলামে তোলা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো যুক্তরাজ্যের ল্যান্ড রোভার গাড়ি। এ রকম সাতটি গাড়ি রয়েছে। ১১০টি গাড়ির অর্ধেকই মার্সিডিজ বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির অনেকগুলোর চাকা ও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে।
এই গাড়িগুলো অখালাস অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। নিলামের তালিকায় নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ও মিৎসুবিসি।