পৃথক পরিবারের ১৯ জোড়া জমজ শিশু (মোট ৩৮ জন) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেছিল। লটারিতে প্রতি জোড়া জমজ শিশুর মধ্যে একজন করে ভর্তির সুযোগ পায়।প্রতি জোড়া জমজ শিশুর একজন করে স্কুলটিতে ভর্তি হতে পারেনি।
বাকি ১৯ শিশুকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি করাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে সমর্থ হননি অভিভাবকরা। পরে তারা উচ্চ আদলতের দ্বারস্থ হন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) অভিভাবকদের করা ওই রিট আবেদনের শুনানির পর বাকি ১৯ শিশুকেও ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান জানান, জমজ বাচ্চাগুলো সবসময় একসঙ্গে থাকে। একসঙ্গে খেলাধুলা করে। তাদের চাওয়াও একইরকম। তাই তাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসঙ্গে থাকাটা খুবই জরুরি। আলাদা থাকলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে। এ কারণে রিটটি করা হয়। আদালত তাদের ভিকারুননিসায় ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অন্যদের সঙ্গে ১৯ জোড়া জমজ শিশুও আবেদন করেছিল। লটারিতে তাদের একজন করে ভর্তির সুযোগ পায়। প্রতি জোড়া জমজের একজন করে ভর্তি হতে পারেনি। পরে তাদের মানসিক দিক বিবেচনা করে ভর্তির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন অভিভাবকরা। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়।