বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত অল আউট হয় ১৫০ রানে। এরপর ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে। ব্যাটারদের মধ্যে কেবল উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিই অপরাজিত ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আজ দারুণ কিছু করতে হতো ক্যারিকে। তবে তিনি তা পারেননি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ক্যারিকে ফেরান জশপ্রীত বুমরাহ, এরপর নাথান লায়নও ফিরলে দলীয় ১০০ রানের আগেই অল আউট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। তবে অজিদের এ লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন স্টার্ক।
নাথান লায়ন যখন আউট হন অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৯ উইকেটে ৭৯। একশ রানের আগে অল আউট হওয়ার শঙ্কা তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার শঙ্কাও। তবে জশ হ্যাজলউডকে সঙ্গে নিয়ে অজিদের এ লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন স্টার্ক। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটাও খেলেছেন তিনিই।
ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন ৮৩ রানে অল আউট হয়েছিল। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৯১ রানেও অল আউট হয়েছিল একবার। আজ স্টার্কের কল্যাণে এ দুই রেকর্ড পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান করেছে অজিরা। হ্যাজলউডকে সঙ্গে নিয়ে ১১০ বলে ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তারকা এই পেসার।
স্টার্ক নিজে খেলেছেন ১১২ বলের ইনিংস, করেছেন ২৬ রান। অজিদের হয়ে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ বলের ইনিংস খেলেছেন মার্নাস লাবুশেন। তাই, বুমরা-সিরাজ-রানাদের দুর্দান্ত বোলিংকে যে স্টার্ক নিজ দলের স্বীকৃত ব্যাটারদের চেয়েও বেশ ভালোভাবে সামলেছেন সে কথা তো বলাই যায়।
ভারতের জন্য অস্বস্তি হয়ে ওঠা স্টার্ককে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়েছেন হার্শিত রানা। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন স্টার্ক, অজিদের ইনিংস থামে ১০৪ রানে, ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে ভারত। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন বুমরা, অভিষিক্ত রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট।