তামিম ইকবাল শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে। তিনি ফেরার মনস্থির করে থাকলেও আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনে যে বছর পেরিয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ডিসেম্বরের আগে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সিরিজ নেই বাংলাদেশের। যদিও গত কিছুদিন ধরে তামিমের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জোর আলোচনা আছে। দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি।
গতকাল এ ব্যাপারে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি তামিমের ওপর। এ নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী ওপেনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জাতীয় দলে ফেরা না ফেরার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। চুক্তিতে না থাকায় জাতীয় দলে খেলার বাধ্যবাধকতাও নেই। তাই ঘরোয়া লিগে সাদা বলের ক্রিকেট খেললেও জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি টাইগার ওপেনার। তবে তাঁকে ফেরাতে বিসিবি থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। বিসিবির দুই পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ ও জালাল ইউনুসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তামিমের সঙ্গে কথা বলে মতামত জানাতে।
এ ব্যাপারে জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে আমরা আগেই কথা বলেছি। সে বলেছিল, বোর্ড সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তার পরিকল্পনা জানাবে। সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছে, কিন্তু বসা হয়নি। কারণ বিশ্বকাপের পর তার ভাই নাফিস ইকবাল অসুস্থ হওয়ায় ব্যস্ত ছিল। সে তার পরিকল্পনা সভাপতিকে জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা তামিমের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আছি।’
তামিমকে রাজি করানোর দায়িত্ব বিসিবির দুই পরিচালককে না দিয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে যোগাযোগ করতে বলা হলে ভালো হতো বলে মনে করেন কেউ কেউ। কোচ নিজে থেকেও উদ্যোগ নিলে বিষয়টি সহজ হতো। যেটা তিনি করার প্রয়োজন বোধ করেননি। অথচ এই হাথুরুসিংহেকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধান কোচ করে আনার পেছনে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিমের ভূমিকা ছিল বলে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কোচ চাইলে তামিম জাতীয় দলে ফিরতে হয়তো আপত্তি করবেন না। কারণ কোচের কাছে সিনিয়র এ ব্যাটারের চাওয়া থাকবে ড্রেসিংরুমে স্বস্তিদায়ক একটি পরিবেশ। কেবল কোচই দিতে পারেন সে নিশ্চয়তা।
তামিমের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হলে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে হবে। ‘এ’ দলের হোম সিরিজে নিজেকে কিছুটা ঝালিয়েও নিতে পারেন তিনি। বিসিবির কর্মকর্তাদেরও চাওয়া তামিম নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে খেলেন। কারণ জাতীয় দলের ওয়ানডে সিরিজ না থাকায় পাকিস্তানে ‘এ’ দলের সফর ও দেশে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ রাখা হয়েছে বলে জানায় বিসিবি। ‘এ’ দুটি সিরিজে ৫০ ওভারের ম্যাচে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হবে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে নানা গুঞ্জন সম্পর্কে মেসেজ দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে তামিম ফিরতি মেসেজে লিখেছেন, ‘কোনো কিছুই ঠিক হয়নি।’