যখন ব্যাটিংয়ে এলেন, জয়ের জন্য বাকি ছিল মাত্র ৬ রান। সেখানে তিনি একাই করেন ৭ রান। দুই দলের স্কোর যখন সমান, তখন বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফারজানা হক পিংকি। আর এই ইনিংসের সুবাদে ইতিহাসের পাতায় উঠে গেছেন এ টপঅর্ডার ব্যাটার।
মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কমওয়েলথ গেমসের বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। দলকে জিতিয়ে ৯ বলে ৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফারজানা পিংকি।
নিজের দ্বিতীয় রান করার পথে বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার নামের পাশে রয়েছে ১০০৫ রান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি ৫০+ রানের ইনিংসের মালিক ফারজানা। তিনিই খুললেন দেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসের নতুন দুয়ার। কাছাকাছি থাকা নিগার সুলতানা জ্যোতির সংগ্রহ ৮৬১ রান।
এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটেও শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ফারজানা। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৮৯৩ রান করেছেন রোমানা। এরপরই আছেন ৮৪১ রান করা ফারজানা। ওয়ানডেতে আর কারও ৪০০ রানও নেই।
নারী আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক
১/ ফারজানা হক পিংকি – ৬৪ ইনিংসে ১০০৫ রান, সর্বোচ্চ ১১০*
২/ নিগার সুলতানা জ্যোতি – ৫০ ইনিংসে ৮৬১ রান, সর্বোচ্চ ১১৩*
৩/ রোমানা আহমেদ – ৬০ ইনিংসে ৭৪৬ রান, সর্বোচ্চ ৫০
৪/ আয়েশা রহমান শুকতারা – ৫৩ ইনিংসে ৭০০ রান, সর্বোচ্চ ৪৬
৫/ সালমা খাতুন – ৪৯ ইনিংসে ৫৩১ রান, সর্বোচ্চ ৪৯*
এছাড়া ৫০০’র বেশি রান করেছেন সানজিদা ইসলাম (৪৯ ইনিংসে ৫২০ রান) ও শামীমা সুলতানা (৩৬ ইনিংসে ৫০৯ রান)।
নারী আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক
১/ রোমানা আহমেদ – ৩৯ ইনিংসে ৮৯৩ রান, সর্বোচ্চ ৭৫
২/ ফারজানা হক পিংকি – ৪০ ইনিংসে ৮৪১ রান, সর্বোচ্চ ৬৯*
৩/ সালমা খাতুন – ৩৩ ইনিংসে ৩৯৭ রান, সর্বোচ্চ ৭৫*
৪/ নিগার সুলতানা জ্যোতি – ২০ ইনিংসে ৩৭৬ রান, সর্বোচ্চ ৫৯
৫/ শারমিন আক্তার সুপ্তা – ২৪ ইনিংসে ৩৬৮ রান, সর্বোচ্চ ৭৪
পিএসএন/এমআই