রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সব একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হলের আবাসিক ফি, ফরম পূরণ, সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট উত্তোলনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম।
অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম বলেন, ফরম পূরণের প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই হচ্ছে। কিন্তু বিভাগ ও হল কর্তৃপক্ষের চাহিদার প্রেক্ষিতেই দুটো স্বাক্ষরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের এসব ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খুব শিগগির আমরা গোটা সিস্টেম অনলাইনে নিয়ে আসব। এতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই এসব কাজ করতে পারবে।
রাবিতে সেমিস্টার কিংবা ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার আগে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণের জন্য বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। সেজন্য বিভাগ এবং হল অফিসে গিয়ে একটি স্বাক্ষরের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সকালে অফিসে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অফিস থেকে জানানো হয় ‘লাঞ্চের পর আসেন।’ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় না আসায় শিক্ষার্থীদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের এসব ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে রাবি প্রশাসন। একাডেমিক বিভিন্ন ফি শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই দিতে পারবে।
এ বিষয়ে আইসিটি সেন্টারের পরিচালক বাবুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি পেমেন্ট গেটওতে ইন্টিগ্রেট করে দেব, যাতে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই সব রকম ফি প্রদান করতে পারবে। ক্যাম্পাসের দুটো ব্যাংকের সঙ্গেই আমরা আলোচনা করেছি। আশা করছি নতুন এই সিস্টেমটি তাড়াতাড়ি চালু করতে পারব।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সংশ্লিষ্ট যেকোনো সুবিধা দিতে প্রস্তুত আছে সোনালী ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনালী ব্যাংক রাবি শাখার এজিএম মোহাম্মদ নাসির হায়দার।
মোহাম্মদ নাসির হায়দার বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনের উদ্দেশেই রাবি ক্যাম্পাসে সোনালী ব্যাংকের শাখাটি চালু হয়েছে। সোনালী ই-সেবার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফি দিতে করতে পারছেন। রাবি প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষে ভর্তি, সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট তোলার ক্ষেত্রে শুধু ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল সেবা রকেটের মাধ্যমে ফি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে একাডেমিক ও হল সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত