
মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে থেকেই যত কথা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। টেস্ট শুরুর পর যত সময় গড়িয়েছে, প্রথম দিনের খেলা যতই শেষের দিকে গেছে, মুশফিককে নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ততই বেড়েছে।
বুধবার এমন এক জায়গায় গিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে যেখানে আসলে মুশফিককে নিয়ে কথা বলা ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ, সেই প্রথম সেশনে ৯৫ রানে তিন টপ অর্ডার সাদমান, মাহমুদুল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর সারাদিন উইকেটে কাটিয়ে শতরান থেকে মাত্র ১ রান দুরে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক। তাই আজ একটি মুশফিকময় দিন কেটেছে হোম অফ ক্রিকেট- মিরপুরে।
এখন সবার উন্মুখ অপেক্ষা, বৃহস্পতিবার সকালে কত দ্রুত কাঙ্খিত শতক পূর্ণ হয় মুশফিকের? দ্বিতীয়দিন সকালে ফিফটি করতে আর কয় বল খেলতে হয় লিটন দাসকে?
এসব আলোচনা-পর্যালোচনায় ঢাকা পড়ে গেছে ম্যাচ নিয়ে কথাবার্তা। প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ আর কতদুর যেতে পারে? এ উইকেটে কত রান হতে পারে নিরাপদ?
তবে দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ টপ অর্ডার মুমিনুল হক জানিয়ে দিয়েছেন তা। মুমিনুল উইকেটের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার কথা হলো যদি দ্বিতীয় দিন উইকেটে টার্ন শুরু হয়, তাহলে ৩৭৫ রানই অনেক রান। না হয় এখন উইকেটের যে অবস্থা, তাতে বাংলাদেশ পৌনে পাঁচশো করে ফেলতে পারে। মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে বসতে পারে।
উইকেট কেমন? রান করা সহজ? নাকি বোলারদের অনুকুল? এ প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলে ওঠেন, আজকে উইকেটের আচরন খারাপ ছিল না। তবে আইরিশরা খুব রক্ষণাত্মক ছিল এবং ফিল্ডারদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে বোলিং করায় আমাদের সিঙ্গেলসে খেলতে বাধ্য করেছে। পাশাপাশি আউটফিল্ড স্লো ছিল। এ উইকেটে প্রথম দিন ২৯২ অনেক রান দাবি মুমিনুলের।
তার অনুভব, আইরিশরা এমন লাইন ও লেন্থে বল করেছে যে, অনেক লম্বা সময় ধরে উইকেটে থাকা ছাড়া লম্বা ও দীর্ঘ ইনিংস খেলাও কঠিন। বুঝিয়ে দিলেন যে, আইরিশ বোলিংটা ডিফেন্সিভ ছিল বলেই তারা মানে টাইগাররা আক্রমণাত্মক হননি।
বরং দীর্ঘ সময় উইকেটে থেকে সিঙ্গেলসে খেলার চেষ্টা করেছেন। তা যে করেছেন তার প্রমাণ, সারা দিনে বাংলাদেশের তোলা ২৯২ রানের মাত্র ৭০ রান এসেছে বাউন্ডারি (১৬ টি) ও ছক্কা (একটি) থেকে।
মুশফিকের ১৮৭ বলে করা ৯৯ রানে চারের মার মোটে ৫টি। বাঁ-হাতি ওপেনার সাদমান ৩৫ করতে হাঁকিয়েছেন ৫ বাউন্ডারি। লিটন দাসের ৪৭ রানে বাউন্ডারি মাত্র দুটি। অবশ্য মুমিনুলের দাবি, স্লো উইকেটও বাউন্ডারি কম হবার বড় কারণ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত