কয়েক দশক ধরে, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের একটি দৃশ্য। মে মাসে শুরু হওয়া সর্বশেষ পুনরাবৃত্তিতে, কঙ্গোর সেনাবাহিনী এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে লড়াই করছে। একটি বিশাল এলাকা দখল করে রাখা গোষ্ঠীটি ২০১২-২০১৩ সালের বিদ্রোহের পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণ চালাচ্ছে।
আয়তন অনুসারে, বিশাল মধ্য আফ্রিকান দেশটি মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এবং বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম দেশ।দেশটির খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চল, শতাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণের জন্য কঙ্গোকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে তার কিছু নিকটবর্তী প্রতিবেশী - অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, রুয়ান্ডা এবং উগান্ডায় আক্রমণ শুরু করেছে।
ফলস্বরূপ, এটি এখন অসংখ্য কঙ্গো নাগরিকের মৃত্যু এবং বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসে, নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল (ডিআরসি) এই পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত শরণার্থী সংকট হিসাবে ঘোষণা করেছে। সহায়তা সংস্থাটি বলছে, অন্তত ৫ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এবং আরও এক মিলিয়ন বিদেশে পালিয়েছে।
কী হচ্ছে কঙ্গোতে?
ভবিষ্যতে সেখানে কী হতে চলেছে?
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা পূর্ব কঙ্গোতে একটি আঞ্চলিক সামরিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন। রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে সহ আঞ্চলিক নেতাদের উপস্থিতিতে প্রস্তাবটি কার্যকরে সম্মত হয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কঙ্গো এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে কিন্তু রুয়ান্ডার অংশগ্রহণ চায় না দেশটি। রুয়ান্ডার কিগালিতে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলন হওয়ার আগে, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট কাগামে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট শিসেকেদির সাথে সংলাপ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে, মধ্য আফ্রিকান দেশটি চেষ্টা করছে ঘুরে দাঁড়ানোর। বাকিটা সময় বলে দেবে। তবে, দেশটির সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার কোনো সম্ভাবনাও দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
সুত্র: আল-জাজিরা
এসআই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত