ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, রাঙামাটি, লালমনিরহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়। এর আগে ১২ জানুয়ারি ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ এবং রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১। করোনার মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর সংক্রমণ ৫-১০ শতাংশের মধ্যে। আর কম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর করোনা শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪০৭ জন। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৮। আগের দিন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৬৭৬ জন। এক দিনের ব্যবধানে নতুন রোগী বেড়েছে ১ হাজার ৭৩১ জন।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৩৫ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৮। আগের দিন এ হার ছিল ২০ দশমিক ৮৮।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চে প্রথম মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
পিএসএন/এমআই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত