
আফগানিস্তানের ব্যাটার উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি করে প্রতিপক্ষকে পাল্টা জবাব দিলেন বাংলাদেশের কালাম সিদ্দিকী। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে জয়ের হাসি নিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জয় পায় ৫ রানে। ম্যাচটিকে ঘিরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রায় ১৬ বছর পর এই মাঠে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, তাই গ্যালারিতে ছিল কানায় কানায় দর্শক। হাজারো সমর্থকের উপস্থিতিতে নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় বগুড়ার এই ঐতিহ্যবাহী ভেন্যু।
২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৬০ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান তিন ব্যাটার। তবে চতুর্থ উইকেটে কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন গড়ে তোলেন ১৩৯ রানের অসাধারণ জুটি। দুজনের ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ফিরে আসে দল। ব্যক্তিগত ১০১ রান করে আউট হওয়ার আগে কালাম খেলেন ১১ চার সমৃদ্ধ ইনিংস।
রিজান ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যিনি ১২ রানে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২৩১। এরপর ডিএলএস মেথডে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২৭, ফলে ৫ রানের জয় নিশ্চিত হয় অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের দলের। আফগানিস্তানের পক্ষে ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।
তবে ম্যাচের নায়ক ছিলেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে ৫৭ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তার বিধ্বংসী বোলিংয়েই আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ গড়তে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। না হলে নিয়াজাইয়ের সেঞ্চুরিতে হয়তো ২৬৫ রানের চেয়েও বড় লক্ষ্য দাঁড়াত।
আফগান ইনিংসের প্রায় অর্ধেক রান এসেছে নিয়াজাইয়ের ব্যাট থেকে। ১৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার একাই লড়েছেন স্বাগতিক বোলারদের বিপক্ষে। ১৪০ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস সাজিয়েছেন ১৬ চার ও ১ ছক্কায়।
কালাম সিদ্দিকীর সেঞ্চুরি জয়ের ভিত গড়লেও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ইকবাল ইমনের হাতে। তার অসাধারণ বোলিংয়েই বগুড়ায় জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশের তরুণরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত