খুলনায় জনপ্রিয় হচ্ছে নারিকেলের চাষ। দেশীয় চাহিদা পূরনের পাশাপাশি রপ্তানী করার চিন্তা করছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে বর্ষা মৌসুমে নারিকেলের চারা রোপন করা হয়।
কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা কৃষি অঞ্চল বিনা মূল্যে কৃষকদের মাঝে ৩ লাখ ৪০ হাজার নারকেলের চারা বিতরণ করছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নারিকেল চারা ব্যবহারের জন্য ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৬৮ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। জনপ্রতি ৫টি করে চারা সহায়তা পেয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪ জেলায় উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে নগদ টাকার পরিবর্তে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি পুন:বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশ মোতাকের চারা বিতরণ করা হয়।
বিতরণকৃত চারার মধ্যে খুলনা জেলায় ৪৫হাজার কৃষকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩কোটি ৯লাখ ৩৭জাহার ৫শ’টাকা। বিতরণ করা হয়েছে দুলাখ ২৫হাজার চারা। বাগেরহাট জেলায় ১৫হাজার কৃষকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১কোটি ৩লাখ ১২জাহার ৫শ’টাকা। বিতরণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার চারা।
সাতক্ষীরা জেলায় ৫হাজার কৃষকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৪লাখ ৩৭হাজার ৫শ টাকা। বিতরণ করা হয়েছে ২৫ হাজার চারা এবং নড়াইল জেলায় ৩হাজার কৃষকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০লাখ ৬২হাজার ৫শ’টাকা। বিতরণ করা হয়েছে ১৫ হাজার চারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, চারা নিয়মিত পরিচর্চা করতে হয়। নারিকেল চাষ জনপ্রিয়। দেশীয় চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকার প্রতিবছর কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে চারা বিতরণ করে থাকে। কাঁচা নারিকেলের রং সবুজ হয়।
পরিপক্ক হলে রং খয়েরী হয় এবং চিকন চুলের মতো দাগ পড়ে। বিভিন্ন স্থানে ভিয়েতনামের নাকিলের আবাদ হচ্ছে। তিনি বেশী করে কৃষকদের দেশীয় নারিকেলের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিয়েছেন
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত