আলি আবরার
নতুন বছর শুরু হতে না হতেই খুলনায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। পৌষের কনকনে শীতে অনেকটা কাবু হয়ে পড়েছে খুলনার মানুষজন। হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। শীতের এই তীব্রতা আরো বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করতে না পারা ও কুয়াশায় চারা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা পড়েছে বিপদে। এছাড়া সুর্য পুরোপুরি না উঠায় ও ঘন কুয়াশার কারণে সড়কেগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
গতকাল বুধবার খুলনার আকাশে সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘর থেকে বেরোলেই শরীরে জেঁকে বসছে হাড় কাঁপানো শীত, নাগরিক জীবন রীতিমতো হয়ে পড়ছে জবুথবু। ঘর থেকে বের হলেই গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে মানুষজন শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে চেষ্টা করছে উষ্ণতা পাওয়ার। আর রাত হলে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে আগেভাগেই ঘরে ফিরে যাচ্ছে মানুষজন। শীতের এই তীব্রতা বেশ ভোগান্তিতে ফেলেছে শহরের খেটেখাওয়া মানুষদের। ফলে কাজের সন্ধানে বের হয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, একদিকে সূর্যের তাপমাত্রা নেই, অন্যদিকে উত্তর দিক থেকে বাতাস অব্যাহত থাকায় জেঁকে বসেছে শীত। আগামী দুই-তিনদিন শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত