জলবায়ু পরিবর্তনে খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি চাষের বর্তমান সমস্যা ও সমস্যা উত্তরণে করণীয় শীর্ষক এক সেমিনার নগরীর গলামারীর মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের বাস্তবায়নে ছিল ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ফোয়াব)। ফিসারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ফোয়াবের অর্থায়নে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ফোয়াবের সভাপতি মোলা সামছুর রহমান শাহীন। ফুলতলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার রনজিৎ কুমারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুবি’র এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম সরোয়ার মিঠু, উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ তোফাজউদ্দীন আহমেদ, রাজু ফিসারিজের চেয়ারম্যান এস এম রাজুল হাসান রাজু। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়দেব পাল।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ভিসি উপাচার্য বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন স্বাভাবিক বিষয়। ২০০ বছর আগে মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা ছিল না। এখানকার জমি ধান চাষের উপযোগী নয়। বিধায় মানুষ ঝটুকে পড়ে মৎস্য চাষে। পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে মানুষ বুঝে গেছে কোনটা উপযোগী। তাই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। মৎস্য চাষ যখন শুরু হয় তখন ৩০ প্রজাতির চিংড়ি ছিল। যা আজ বিলুপ্তির পথে। গবেষণার মাধ্যমে এর উন্নয়ন করতে হবে। বর্তমানে চিংড়ি উৎপাদন যা আছে তার থেকেও বাড়াতে হবে। চিংড়ির ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করতে ব্রান্ডিং এর বিকল্প নেই। ব্রান্ডিংয়ের অভাবে বিশ^ বাজারে আমাদের অবস্থান নড়বড়ে। গবেষণার মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব চিংড়ি চাষ করতে হবে।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও প্রেজেন্টেশন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। এরপর প্রান্তিক চাষিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সেমিনারে সুপারিশমালার উপস্থাপন করা হয়। কারিগরি সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ তোফাজউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘোষ, ফোয়াবের যুগ্ম সম্পাদক শেখ শাকিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন শাওন, মৎস্যজীবী লীগ নেতা নাসিরুলাহ হীরা, রূপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিদুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম মাস্টার, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ আলী হোসেনসহ জেলার বটিয়াঘাটা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া, রূপসা ও দাকোপের প্রান্তিক মৎস্য চাষিরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত