চাল আমদানি করা হলে কৃষক ও মিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সামনে বোরো মৌসুম তাই চাল আমদানিতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে বলে মত কৃষক নেতাদের।
দিনাজপুরের চেম্বার ও চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের সরবরাহ কিছুটা কম হলেও আমদানির সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না। এতে বাজারদর কমে যাবে ও স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
এদিকে চালের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তারা পড়েছেন দুর্ভোগে। চালের বাজারের অস্থিরতা কমাতে সরকার শুল্ক কমিয়ে প্রায়ই চাল আমদানির পদক্ষেপ নেয়। আবারও বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না বলে মনে করে দিনাজপুরের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।
চাল আমদানি হলে কৃষকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মিলাররাও।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্তে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সঠিক হবে বলে আমি মনে করছি না। সামনেই বাজারে নতুন চাল আসবে। মধ্যবর্তী সময়ে সরকার তাদের মজুতকৃত চাল বাজারে ছাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।’
দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে নতুন চাল আসবে। এ সময়ে ভারত থেকে চাল আমদানি করলে সাধারণ কৃষকরা চালের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।
সামনে বোরো মৌসুম। তাই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষক নেতারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি আকতার আজিজ বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বোরো মৌসুমের ধান উঠবে। বাজারে এ সময়ে চাল আমদানি করলে নতুন ধানের দাম তুলনামূলকভাবে কমে যাবে।
দিনাজপুর জেলায় অটোমেটিক, হটফ্লু, মেজর রাইস মিল ও হাসকিং মিল রয়েছে ২ হাজার ২০০টি। শহরের পুলহাট শিল্প এলাকা থেকে গড়ে প্রতিদিন ২ শতাধিক ট্রাক চাল নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যায়।
এবার ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদে উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল।
পিএসএন/এমঅাই