দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের খুলনা অঞ্চলের বিখ্যাত ফসল হিসেবে খ্যাত চুইঝাল। যার কদর রয়েছে দেশজুড়ে।বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা হচ্ছে চুইঝালের। রান্নার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এ চুইঝাল।
হাঁসের মাংস ও গরুর মাংসের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া হয় চুইঝাল। মাংস ছাড়াও বড় মাছ, খিচুড়ি, ডালসহ অন্যান্য তরকারির সঙ্গেও রান্না করা হয়ে থাকে এটি। দেশি চুইঝালের সামান্য ব্যবহার বদলে দেয় পুরো রান্নার স্বাদ। চুইঝাল গাছ দেখতে পানের লতার মতো।
পাতাটা লম্বা ও পুরু এবং এ পাতায় কোনো ঝাল থাকে না। এই লতা কেটে টুকরো করে মাছ-মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর টুকরোগুলো চিবিয়ে খাওয়া হয়। ঝাল হলেও এর অন্য রকম স্বাদ ও ঘ্রাণ পাওয়া যায়। এর রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণও।
চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল-ফল সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন।ক্যান্সার, হৃদরোগ, গায়ে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক ও এজমাসহ অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবে চুইঝাল খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
চুইঝাল ছাল বাকলসহ পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। আবার চটের বস্তায় মুড়েও মাঝে মাঝে পানির ছিটা দিয়েও সংরক্ষণ করা যায়। যুগ যুগ ধরে খুলনার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে এই চুইঝাল, যা ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করছে সর্বত্র।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত