নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় জামিন পেয়েছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূর তাকে জামিন দেন।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ইরফানের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি মামলার সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন, ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।
তাদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক রয়েছে।
২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত