বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষিতে সীমান্তে বাংলাদেশি যেসব পরিবার ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তাদের সরিয়ে নিতে ঝুঁকির পরিস্থিতি ও তাদের নিজস্ব মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে। সে ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। এর আগে ঘুমধুম ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয়দের ঝুঁকির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস, বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় এর সহকারী কমিশনার রাজীব বিশ্বাস প্রমুখ।
তুমব্রু সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। ঝুঁকির মুখে স্থানীয়দের সরিয়ে নিতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে। আপাতত তিনশ’ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
যারা তুমব্রু, ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি ও সীমান্তের খুব কাছের তাদের সরানো হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় থাকা তিনশ’ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য স্থান খোঁজা হচ্ছে। মূলকথা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সব কিছু গুছিয়ে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এর আগে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলে বাংলাদেশ সীমান্ত এলায় এখন পর্যন্ত ১জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
পিএসএন/এমঅাই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত