২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে পাকিস্তান শিরোপা খুইয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপেও শিরোপার স্বপ্ন নিয়েই মিশনে নেমেছে ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে আসরের শুরুতেই পরপর দুই ম্যাচ হেরে এখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় আছে বাবর আজমের দল।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর গতকাল ভারতের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচেও অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে পাকিস্তান। আগে বল করে ভারতকে ১১৯ রানেই থামিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। আর ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাটকীয়ভাবে হেরেছে ম্যান ইন গ্রিনরা।
লক্ষ্য তাড়ার এক পর্যায়ে ৪৮ বলে ৪৮ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। কিন্তু ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ফখর জামান, এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাবরের দল। একের পর এক উইকেট হারিয়ে এবং ডট বল দিয়ে শেষ পর্যন্ত হেরেছে পাকিস্তান। এমনকি ম্যাচের ১৪ থেকে ১৯ ওভার পর্যন্ত আর একটিও বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি পাকিস্তান।
এমন হারের ব্যাখ্যায় ম্যাচ শেষে বাবর বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম দশ ওভারের পর ওরা (ভারত) ভালো বোলিং করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১২০, প্রথম দশ ওভারে বলপ্রতি রান নিয়েছি। কিন্তু এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছি, বেশ কিছু ডট বল হয়েছে।’
রান তাড়ায় যে কোউশল নিয়েছিলপাকিস্তান তা তারা কাজে লাগাতে পারেননি জানিয়ে বাবর বলেন, ‘কৌশলটা একদম সরলই ছিল। স্বাভাবিক ব্যাটিং, স্ট্রাইক রোটেট করা, ওভারে ৫-৬ রান আর মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি। কিন্তু ওই সময় আমরা অনেক ডট বল দিয়েছি। এতে চাপ বেড়েছে। আমরা দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। আর (শেষ মুহূর্তে) টেলএন্ডারদের কাছ থেকে তো খুব বেশি আশা করা যায় না।’
আসরের শুরু থেকেই নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে অভিযোগ ছিল। তবে কালকের ম্যাচের পিচ ভালো ছিল এবং তাদের হারের পেছনে উইকেটের কোনো ভূমিকা নেই বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। বাবর বলেন, ‘পিচ ভালো। বল ভালোভাবেই ব্যাটে আসছিল। কিছুটা মন্থর ছিল। কিছু বল বাড়তি বাউন্সও হচ্ছিল। কিন্তু এ ধরনের ড্রপ-ইন পিচে এমনটা হতেই পারে।’
পাওয়ার প্লে তে পর্যাপ্ত রান না করতে না পারাও হারের একটি কারণ বলেই উল্লেখ করেন বাবর। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম ছয় ওভারেও যথেষ্ট ভালো খেলিনি। লক্ষ্য ছিল ৪০-৪৫ রান তোলা। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত