মাছ খেতে অনেকেরই অনীহা আছে, বিশেষ করে বাচ্চারা তো একদমই মাছ খেতে চায় না! ভুনা বা ভাজি ছাড়াও মাছ দিয়ে অনেকরকম মজাদার আইটেম তৈরি করা যায়। তেমনই একটি স্ন্যাকস হচ্ছে ফিশ কাটলেট! মাছ দিয়ে কম সময়ে বাসাতেই হেলদি ও টেস্টি কাটলেটটি বানিয়ে নেয়া যায়। যারা মাছ খেতে একদমই পছন্দ করে না, তারাও কিন্তু এটা মজা করে খাবে। তাহলে জেনে নিন, ফিশ কাটলেট তৈরির সবচেয়ে সহজ রেসিপিটি!
১) এই রেসিপিতে রুই, কাতলা, ভেটকি, পাঙ্গাশ কিংবা যেকোনো বড় মাছের পেটি ব্যবহার করা যাবে। প্রথমে চুলার উপর একটি প্যান বসিয়ে তাতে অল্প পানি দিয়ে মাছের টুকরাগুলো দিয়ে দিন। সাথে একটু লবণও দিয়ে দিতে হবে।
২) কিছুক্ষণের মধ্যে পানি টেনে শুকিয়ে যাবে এবং সেই সাথে মাছও সেদ্ধ হয়ে যাবে। এরপর মাছগুলোর তেলের অংশ বাদ দিয়ে ও কাঁটা বেছে ম্যাশ বা ভর্তা করে রাখুন।
৩) এবার আলাদা একটি পাত্রে সেদ্ধ করে রাখা আলু, ধনেপাতা, লবণ, সয়াসস, কালোজিরা, চাট মসলা, মাছ ভর্তা, টমেটো কেচাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো ও লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।
৪) তারপর ডিম ফেটিয়ে তাতে কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিয়ে মিশ্রণটিতে ঢেলে দিন। সব উপকরণ একসাথে চটকিয়ে নিতে হবে।
৫) হাতের তালুতে একটু তেল মেখে মাছের এই মিশ্রণ থেকে একটু করে নিয়ে কাটলেটের আকারে শেইপ দিয়ে শুকনো কর্ণফ্লাওয়ারে গড়িয়ে নিন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছোট বা মাঝারী আকারে কাটলেটের শেইপ করে নিবেন।
৬) অন্যদিকে একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। এই কাটলেটটি আপনি ডীপফ্রাই করতে পারেন অর্থাৎ ডুবো তেলে ভাজতে পারেন। আবার অল্প তেল দিয়েও ফ্রাই করে নিতে পারেন।
৭) তেল গরম হয়ে গেলে ফিশ কাটলেটগুলো একটি একটি করে প্যানে ছাড়ুন। একপাশ ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটিয়ে দিন।
৮) যেহেতু মাছ আগেই সেদ্ধ করে নেয়া হয়েছে, তাই খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন হয় না! গোল্ডেন কালার হয়ে গেলেই তেল থেকে নামিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখুন। এতে এক্সট্রা তেল শুষে নেবে।
ব্যস, গরম গরম ফিশ কাটলেট রেডি! এবার পছন্দের সস দিয়ে পরিবেশন করুন। স্ন্যাকস হিসাবে তো বটেই, পোলাও বা গরম ভাতের সাথেও এটি সার্ভ করতে পারেন। তাহলে, হাতের কাছে সব উপকরণ থাকলে আজই বানিয়ে ফেলুন মজাদার ফিশ কাটলেট!
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত