ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য যুক্তরাজ্য-নির্মিত হালকা ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে ৪৬৮ মিলিয়ন ডলার (৩৫০ মিলিয়ন পাউন্ড) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে লন্ডন ও নয়াদিল্লি। এই চুক্তিকে দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয় দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ সরকার বলেছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে থ্যালেস কারখানায় তৈরি লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএমএ) সরবরাহের এই নতুন চুক্তি প্রায় ৭০০টি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। এই কারখানাটি বর্তমানে ইউক্রেনের জন্যও একই ধরনের অস্ত্র তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত, এলএমএম হচ্ছে হালকা ওজনের একধরনের বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র, যা আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি তৈরি করে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান থ্যালেস।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই চুক্তি যুক্তরাজ্য ও ভারতের মধ্যে একটি বৃহত্তর অস্ত্র অংশীদারিত্বের পথ প্রশস্ত করেছে, যা বর্তমানে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনার অধীনে রয়েছে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত এক বছর ধরে স্টারমার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা খাতের ওপর জোর দিয়ে আসছেন, যার লক্ষ্য উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যয় বৃদ্ধি এবং রপ্তানি বাড়ানো। সম্প্রতি নরওয়ের সঙ্গে ১৩.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ফ্রিগেট চুক্তি এর অন্যতম উদাহরণ।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা তাদের নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য বৈদ্যুতিক চালিত ইঞ্জিন তৈরির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একটি নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে এবং এর জন্য ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের চুক্তির পরবর্তী ধাপে স্বাক্ষর করেছে।
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই চুক্তি ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদার করবে এবং জটিল অস্ত্র নির্মাণে ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার পথ খুলে দেবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত