আসাদুজ্জামান মিলন, শরণখোলা
শত্রুতার আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দুলিয়া বেগমের। বুধবার রাতে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের রায়েন্দা গ্রামের বলেশ্বর পাড়ে তার ছোট চায়ের দোকান ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কারো লাগিয়ে দেয়া আগুনে দোকান ঘর, মালামাল, নগদ টাকা, ৪০ লিটার কেরোসিন ও মাছ ধরা দুটি জাল পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ দুলিয়া বেগমের।
ক্ষতিগ্রস্থ বিধবা দুলিয়া বেগম ও তার প্রতিবেশীরা জানায়, দশ বছর আগে স্বামী শাজাহান মৃধা'র মৃত্যুর পর ৩ ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের অভাবের সংসার। চা- বিস্কুট, বিড়ি - সিগারেট এর এই ছোট দোকান টি তাদের একমাত্র সম্বল। ছেলে মেয়েরা বিয়ে করে আলাদা হলেও বেড়ি বাঁধের বাইরে বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনের মুখে এক চিলতে জমিতে ঐ দোকান ঘরে ছোট ছেলে আমিন (১৮) কে নিয়ে তাদের বসবাস। বলেশ্বর নদীতে মাছ ধরা জেলেরা ওই দোকানের খরিদ্দার।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আগাম পূর্বাভাস ও আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে বুধবার রাতে দুলিয়া বেগম তার দোকান বন্ধ করে আমিন কে নিয়ে মেঝো ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাত ১২ টার দিকে কেউ তার দোকান ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তার অভিযোগ। তবে, তার সাথে তেমন কারো শত্রুতা ও নেই বলে জানান দুলিয়া বেগম।
প্রতিবেশী রসেল শরীফ জানান, আগুন দেখে ও মানুযের ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি দোকান ঘর টি ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। সবাই কে নিয়ে আগুন নেভাতে ঝাপিয়ে পড়ি। আগুন নেভানো সম্ভব হলেও তৎক্ষনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরেক প্রতিবেশী রাসেল হাওলাদার (৩৫) বলেন, নদীতে মাছ ধরার অবরোধের কারনে আামার জালটি ও ঐ দোকান ঘরে রেখেছিলাম। আগুনে আমার জালটি ও পুড়ে গেছে। এ আগুনে আমি ও নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার জানান, বিধবা দুলিয়া বেগম একজন সংগ্রামী নারী। স্বামীর মৃত্যুর পর গত দশ বছর ছোট ওই দোকান দিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। তাদের কে সকলের সহায়তা করা উচিত। কিভাবে আগুন লেগেছে তাও খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত