কৃষি বিভাগ বলছে আমের গায়ে ছত্রাক
আম গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় ছফেদা !
এটা আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু শরণখোলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বেশ কিছু আমগাছের দিকে তাকালে যে কেউ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে। গাঢ় সবুজ আমের পাতার ফাকে ফাকে যেখানে কাঁচা সবুজ ও হলুদাভ পাকা আম থাকার কথা,সেখানে দেখা যাচ্ছে ধূসর বর্নের আম। ঠিক যেন থোকায় থোকায় ছফেদা ঝুলছে। এসব আম নিয়ে গৃহস্থরা বিপাকে পড়েছে। এ আম গুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। তাদের নিজেদের খাওয়া নিয়েও এক ধরনের ভিতি দেখা দিয়েছে।
উপজেলার রাজৈর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গাছে থাকা সবুজ আমগুলো কিছু দিনের মধ্যে ধুসর বর্নের হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে আম নয় ছফেদা।
পশ্চিম খাদা গ্রামের বাদশা হাওলাদার জানান,গাছ ভর্তি সবুজ আমগুলো সব ধূসর বর্নের হয়ে গেছে। রঙের দিক থেকে আম না কি ছফেদা তা বোঝা মুশকিল। বিবর্ন আমগুলো বিক্রি করা ও যাচ্ছেনা। আবার নিজেদের খেতেও ভয় লাগছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শরণখোলায় বানিজ্যিক ভাবে আম চাষ না হলেও প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতে আমগাছ আছে। এসব গাছে এবার রেকর্ড পরিমান আম হয়েছে। গত ১০/১৫ বছরে এ উপজেলায় এতো আামের ফলন দেখা যায়নি বলে জানান, চালিতাবুনিয়া গ্রামের সোবাহান হাওলাদার ও উত্তর রাজাপুর গ্রামের মাসুদ মীর। কিন্তু হঠাৎ করে বেশ কিছু গাছের আম বিবর্ণ হয়ে পড়ায় এসব আম নিয়ে অনেক চাষীদের মধ্যে ভিতি দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তাদের এসব ধুসর বর্নের আম নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে ছুটে যাচ্ছেন।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, আমের এই সমস্যা নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষীরা এসেছে। আমরা তাদের বিশেষ ঔষধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এটা বিশেষ এক ধরনের ছত্রাক। সাধারণত ছায়া ও স্যাতসেতে জায়গার আম গাছে এই ছত্রাকের পরিমান বেশী দেখা গেছে। তবে এ আম খেতে কোন সমস্যা বা ভয়ের কারন নেই বলে জানান তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত