আসাদুজ্জামান মিলন, শরণখোলা
শরণখোলায় কালো বাজারে বিক্রীর উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা বিশেষ ভিজিএফ এর ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আমড়াগাছিয়া বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ৫০ কেজির ২০ বস্তায় এক মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন ও দোকান মালিক কামাল হোসেন কে আটক করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে শরণখোলা থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, ২২ দিনের অবরোধে জেলেদের মধ্যে বিতরনের জন্য বিশেষ ভিজিএফ এর এক মেট্রিক টন চাল কালো বাজারে বিক্রি ও মজুদ এর সংবাদ পেয়ে আমড়াগাছিয়া বাজারের মেসার্স আরাফাত স্টোরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫০ কেজির ২০ বস্তায় এক মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হলে দোকান মালিক ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপনের কাছ থেকে কিনেছেন বলে জানান। ঐ গ্রাম পুলিশ কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চাল বিক্রির কথা স্বীকার করেন।
তবে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন, এই চাল উপকার ভোগী জেলেদের কাছ থেকে কিনেছেন বলে দাবী করেছেন।
এ বিষয় ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম টিপু বলেন, যথা নিয়মে ধানসাগর ইউনিয়নের জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ কিভাবে বা কোথা থেকে চাল কেনা বেচা করেছেন তা তিনি জানেন না। তবে অনেক উপকার ভোগী জেলে তাদের চাল বিক্রি করে দেন বলে তিনি শুনেছেন।
শরণখোলা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত এ চালের কেনা বেচা বা অবৈধ মজুদ সম্পূর্ণ বে আইনী। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত