ভারি বর্ষনে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত
আসাদুজ্জামান মিলন, শরণখোলা
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে গত দু'দিনের ভারি বর্ষনে উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। থেকে থেকে দমকা হাওয়া বইছে। রবিবার ভোর রাত থেকে এ উপজেলায় বিদ্যূৎ সরবারহ বন্ধ রয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে এ উপজেলার ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৯১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য শুকনা খাবারের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান। বাগেরহাট ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রবি ও সোমবার প্রথমে হাল্কা ও পরে ভারি বর্ষন শুরু হয়। এতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারের রান্না বান্না হয়নি।
উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্ব মাথার বাসিন্দা নরেশ ঋষি ও মানিক তালুদার জানান, সিত্রাং এর প্রভাবে বিরামহীন বর্ষনে তাদের ঘরে পানি উঠে গেছে। রান্নাঘর আর বাথরুম একাকার হয়ে যাওয়ায় তাদের রান্না বান্নাসহ স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর, কুমারখালি, রায়েন্দা ইউনিয়নের রায়েন্দা বাজার, রাজেশ্বর,লাকুরতলা, উত্তর রাজাপুর, দক্ষিণ রাজাপুর, সাউথখালী ইউনিয়নের রায়েন্দা,তাফালবাড়ি, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, বগী, তেরাবেকা, খুড়িয়াখালী ও সোনাতলা বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা পরিবার গুলো চরম দূর্ভোগে পড়েছে। হাট বাজারে লোক সমাগম নেই বললেই চলে। নিন্ম আয়ের লোকজন কাজ করতে না পেরে চরম সংকটে পড়েছে।
রবিবার রাত থেকে এ উপজেলার বিদ্যূৎ সরবাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রবি শষ্য ও শীতকালীন সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের মধ্যে জরুরী শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত