সারাদেশ যখন তীব্র শীতে কাঁপছে তখন রাজধানীর ঢাকাতেও ব্যাপক আকারে এর প্রভাব পড়েছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরম পোশাকের বিক্রি। ফলে এর চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের পোশাকের চাহিদা পূরণের অন্যতম স্থান ফুটপাতের দোকানগুলো। তবে তুলনামূলকভাবে এর দাম আগের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাকপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে হাঁকা হচ্ছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে শীতের গরম পোশাক।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সদরঘাট, রায়সাহেব বাজার, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র। দোকানগুলোতে শিশু ও বয়স্কদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাফলার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে বেশি। কাপড়ের মান ও আকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
এদিকে ফুটপাতে ভিড় করা ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে ভারী ও গরম পোশাকের প্রয়োজন অতটা পড়েনি। তবে গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় আগের পোশাকগুলো দিয়ে আর কুলাচ্ছে না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই শীতের পোশাক ক্রয় করতে হচ্ছে। আর ক্রেতাদের এ চাহিদাকে পুঁজি করেই বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন।
বাংলাবাজারের একটি প্রেসে কাজ করেন রবিউল মিয়া। তিনি বলেন, সামান্য বেতন হওয়ায় শপিংমল কিংবা দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক ক্রয় করা হয় না বললেই চলে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকেই ক্রয় করতে হয়। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে আগের থেকে অনেক বেশি দামে শীতের গরম পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
আরেক ক্রেতা শাহানা আক্তার বলেন, আমি সদরঘাটে একটি দোকানে কাজ করি। সেখানে যে বেতনে পাই তাতে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তাই বেশি দামে বড় দোকান থেকে শীতের পোশাক কিনতে পারি না। তাই ফুটপাতেই ভরসা।
পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক দিনের ঠান্ডার জেরে গরম পোশাকের দাম বেড়েছে। খলিল নামে এক বিক্রেতা বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। চার-পাঁচ দিনে যে পরিমাণ পোশাক বিক্রি হয়েছে, তা গত এক মাসেও হয়নি। তাই দামও সামান্য বেড়েছে। তবে দাম সাধ্যের মধ্যেই আছে। গরিব মানুষ সহজেই ক্রয় করতে পারছেন।
পিএসএন/এমঅাই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত