খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠের টেনিস গ্রাউন্ড সংলগ্ন মাঠে মাসব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শেষ হয়েছে। এ মেলায় ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি হয়েছে। উক্ত ২৭ দিনে গাছের চারা বিক্রির পরিমান ছিল ৪৩ হাজার ৭২১টি।
জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট রেঞ্জার মো. ফজলুল হক বলেন, এ মেলায় বনজ ২ হাজার ১৭৭টি, ফলজ ১২ হাজার ৬১৯টি, ঔষুধি ২ হাজার ৫৮১টি, শোভা বর্ধনকারী ১২ হাজার ৮৬৮টি, ফুল ১০ হাজার ৪২৭ টি এবং অন্যান্য প্রজাতির ৩ হাজার ৪৯টি চারাসহ মোট ৪৩ হাজার ৭২১টি চারা বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বিক্রিটা আরেকটু বেশী হবে। তবে বিক্রি সন্তোষজনক।
এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ মেলার ইতি ঘটে। এর আগে গত ৭ জুলাই
থেকে মেলা শুরু হয়।
বিকেল চারটায় মেলা মাঠে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ হোসাইন শওকত।
অনুষ্ঠান শেষে খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন। এছাড়াও বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন নার্সারির মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ তিনটি নার্সারির মালিকদের মাঝে পুরস্কার প্রাদান করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ ও খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদিউল আহমেদ রয়েল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার শেষ দিনেও ছিল দর্শক-ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। প্রথম দিকে অতিবৃষ্টির কারনে ক্রেতাদের আগমন ছিল অনেকটাই কম। এজন্য তিন সপ্তাহব্যাপী মেলা শুরু হলেও পরে নার্সারী মালিক সমিতির দাবির মুখে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়।
মেলার শেষ দিনে কথা হয় খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি এস এম বদরুল আলম রয়েলের সাথে। তিনি বলেন, 'এবার মেলার প্রথম থেকেই ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাওয়া গেছে।' তবে মাঝে টানা বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীদের ভীড় একটু কমে যায়। তবে এবছর বিক্রি ভালো।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত