নাশকতার মামলায় ১৫জন বিএনপি নেতা কর্মীর জামিন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সোমবার (১৪ নভেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আল আমিন আল রাজী জামিন আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
জাামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজারগ্রাম রহিমপুরের শেখ এবাদুল ইসলাম, একই উপজেলার পারুলগাছা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মো. জালালউদ্দিন গাজী, একই গ্রামের হাফিজুর রহমান সাঁফুই ওরফে হুকুম সাঁফুই, মৌতলা গ্রামের কাজী মোফাজ্জেল কবীর ওরফে পলাশ, কুশুলিয়া গ্রামের কাজী হুমায়ুন কবীর ডাবলু, রতনপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম বাবু, গোবিন্দপুর গ্রামের ডা. রফিকুল ইসলাম বাবু, মৌতলা গ্রামের শেখ আলমগীর হোসেন, মোমরেজপুর গ্রাামের আক্তারুজ্জামান বাপ্পি, একই গ্রামের সৈয়দ হাসানত আলী, দুলাবালা গ্রামের মো. আব্দুস সবুর, দুদলী গ্রামের সৈয়দ হেমায়েত আলী, বাজারগ্রাম রহিমপুরের মো. রেদওয়ান ফেরদৌস রনি, মুকুন্দপুর গ্রামের মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মো. বদিউজ্জামান।
মামলার বিবরণে সূত্রে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী স্থানে নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠককালে পুলিশ বিএনপি নেতা দক্ষিণ পলাশপোলের শেখ তারিকুল হাসান, কালিগঞ্জের বাজারগ্রাম কাশেমপুরের শেখ মো. নুরুজ্জামান, বাজারগ্রামের হাফিজুর রহমান ও ফতেপুরের শাহীনুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আশীষ কুমার ঘোষ বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত চারজনসহ ২৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৯০ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪/৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত জামিন না’মঞ্জুর হওয়া প্রথমাক্ত সাত জন ও শেষ আটজন গত ৪ অক্টোবর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি খায়রুল আলমের আদালতে পৃথক দু’টি ক্রিমিনাল মিস কেস করে অগ্রিম জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে তাদেরকে আগামি ছয় সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি তারা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আল আমিন আল রাজী জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামি শেখ এবাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে তারা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দক্ষিণ শ্রীপুর বাজার এলাকা থেকে শেখ তারিকুল হাসানসহ চারনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে ও গ্রেফতারকৃত চারজনসহ ২৮ জনের নামে পুলিশ নাশকতার মামলা দেয়। গ্রেফতারকৃত চারজন গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিনাদেশ পান।
আসামিপক্ষে মামলাটির শুনানীতে অংশ নেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত