
তবে এ বছর রাস উৎসবে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরাই অংশ নিতে পারবেন। কোনো পর্যটক বা মুসলিম ধর্মাবলম্বীর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বনবিভাগ জানায়, ২৭ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে, পর্যটক ও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের পাস-পারমিট দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, হরিণ শিকার প্রতিরোধ ও প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুণ্যার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচটি নৌপথ। উৎসবকে কেন্দ্র করে বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা, চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য অনুমতিপত্র (পাস-পারমিট) প্রদান করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই আলোরকোলে অস্থায়ীভাবে নির্মিত রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ৫ নভেম্বর ভোরে সাগরের প্রথম জোয়ারের লোনা জলে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই ঐতিহ্যবাহী মিলনমেলা।
রাস উৎসব উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হবে রাস পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে মূল পূজাস্থল আলোরকোলে রাধা-কৃষ্ণের অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ভক্তরা এখানে এসে পূজা-অর্চনা করবেন এবং ৫ নভেম্বর সকালে পুণ্যস্নান শেষে ফিরে যাবেন।”
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “এ বছর রাস উৎসবে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোনো পর্যটক বা মুসলিম ধর্মাবলম্বী সেখানে যেতে পারবেন না। ট্যুর অপারেটরদেরও রাস উৎসবে দর্শনার্থী নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও জানান, “পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনের প্রবেশমুখ, বনের অভ্যন্তর এবং নির্ধারিত রুটগুলোতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।”
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত