শেহতাজ মুনিরা হাশেম। মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী। গত শুক্রবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। পাত্র গায়ক ও সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসান। বিয়ে ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে-
সাড়ে পাঁচ বছরের প্রেম। আপনাদের দু’জনের পরিচয় কীভাবে?
প্রীতমের সঙ্গে পরিচয় একসঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিও করার সুবাদে। তাঁর গান ‘জাদুকর’-এর ভিডিওতে আমি মডেল হয়েছিলাম। শুটিং সেটে অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। এর পরপরই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু।
ভালোবাসার কথা কে আগে জানিয়েছেন, প্রীতম নাকি আপনি?
প্রীতম আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেননি; সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা। এভাবেই তাঁর প্রতি আমার ভালো লাগা বাড়তে থাকে। সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকার মতো ছিল না পথচলা। অনেকেই জানেন, শোবিজের যে কোনো কাজে আমার আম্মু সব সময় আমার সঙ্গে থাকেন। এমনকি প্রীতমের সঙ্গে যেদিন প্রথম দেখা করেছি সেদিন গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে আম্মু আমার সঙ্গে ছিলেন। পরিবার থেকে শুরুতেই প্রীতমের সঙ্গে আমার দেখা করা নিষেধ ছিল। আমরা যতটা না প্রেমিক-প্রেমিকা, তার চেয়ে বেশি ছিলাম বন্ধু। এমন নয় যে, দুই মাস প্রেম করেই বিয়ে হয়েছে। কথা বলতে বলতেই একজন আরেকজনকে জানতে পেরেছি।
বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে দেরি হলো কেন?
দীর্ঘ সময় দু’জন দু’জনকে জানার পর আমরা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিয়ের আয়োজন অনেক আগেই করার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ে আমার আব্বু মারা যাওয়ায় আগস্টে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিতে হয়। এরপর আমার আম্মুও অসুস্থ হয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সব মিলিয়ে এ বছর আমাদের বিয়ে করার ইচ্ছাই ছিল না। কিন্তু আম্মুর চাওয়া থেকেই বিয়ের কাজটি সেরে ফেলেছি।
কোন ভাবনা থেকে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং?
আমাদের পরিকল্পনা ছিল ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার। আউটডোর ফিল রাখার জন্য সিলেটের শ্রীমঙ্গলের মতো সুন্দর জায়গার একটি রিসোর্ট বেছে নিই। অতিথিরা এক দিন আগেই এখানে চলে আসেন। যে জন্য মেহেদি অনুষ্ঠানও হয়েছে। আমার অনেক কাছের বন্ধুরা ছিল আয়োজনে। যে জন্য বিয়ের আয়োজনও শুটিংয়ের মতো মনে হয়েছে।
প্রীতমের কোন গুণগুলো আপনার ভালো লাগে?
প্রীতম ভীষণ মেধাবী, ভদ্র। তাঁর সততা, সরলতা আমাকে বেশ আকর্ষণ করে।
মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা করছেন কোথায়?
সবে তো বিয়ে হলো। হাতে কিছু কাজও রয়েছে। সময় সুযোগ পেলে দুই মাস পর মধুচন্দ্রিমার জন্য জাপান যাবে।
পিএসএন/এমঅাই