অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।
পাশাপাশি গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
আজ ভোরেই ওমরা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেই জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জামায়াত আমির তার বিদেশ সফরের নানা দিক নিয়ে নেতাদের সামনে তুলে ধরেন। বৈঠকে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে– জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের মতো একটি ধারণা পোষণ করছেন। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। এটি গণভোট প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হয়ে যাবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে– সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। পাশাপাশি, ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।
