ইতালির সাম্প্রতিক দুই ম্যাচে (এস্তোনিয়া ও ইসরায়েলের বিপক্ষে) উন্নতি দেখে সন্তুষ্ট জেনারো গাত্তুসো। তবে তিনি বলছেন, বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত না করতে পারলে নিজের কৃতিত্ব নয়, বরং ইতালি থেকেই সরে যাবেন তিনি। “না পারলে আমি অনেক দূরে চলে যাব ইতালি থেকে,” বলেন আজ্জুরি কোচ।
মঙ্গলবার উদিনেতে ইসরায়েলকে ৩–০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ইতালি। দায়িত্ব নেওয়ার পর গাত্তুসো টানা চার ম্যাচ জিতেছেন, যেখানে তার দল করেছে ১৬ গোল।সংবাদ সম্মেলনে গাত্তুসো মজা করেই বলেন, “যদি লক্ষ্য পূরণ করতে পারি, তবেই কৃতিত্ব নেব। না হলে ইতালি থেকে আরও দূরে চলে যাব। এখনই অনেক দূরে থাকি, কিন্তু তখন আরও দূরে পালিয়ে যাব।”
গত জুনে লুসিয়ানো স্পালেত্তির জায়গায় ইতালির দায়িত্ব নেন গাত্তুসো। এরপর তার কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিলেন এস্তোনিয়া ও ইসরায়েলের। “গতকালও বলেছি, এখানে আসাটা আমার স্বপ্ন পূরণ। আমার চেয়ে অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন, তবুও এই দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ,” বলেন গাত্তুসো। “ফেডারেশন, প্রেসিডেন্ট আর বুফনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ভাবিনি দল এত দ্রুত ১৬ গোল করবে। এটা পুরোপুরি খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, অনেক সময় ঘুমও হয় না, কিন্তু জেতার পর যে অনুভূতি পাই, সেটাই সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।”
নভেম্বরে ইতালি মুখোমুখি হবে মলদোভা ও নরওয়ের। যদিও গাণিতিকভাবে আজ্জুরিদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এখনো আছে, তবু আর্লিং হালান্ডদের নরওয়ের বিপুল গোল ব্যবধানের কারণে সরাসরি বিশ্বকাপে ওঠা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন গাত্তুসো। নিজেদের ঘাটতির জায়গাটিও খোলাখুলি বলেছেন কোচ, “আমার মনে হয় আমরা যখন গোল খাওয়ার ঝুঁকিতে থাকি, তখন ভয় পাই। অনেক দল দেখি যারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু আমরা এখনো ওভাবে খেলতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “এই জায়গাটাতে উন্নতি করতে হবে। চাপে থাকলেও পিছিয়ে গেলে চলবে না। এখানেই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে আমাদের। তবে দলের সামগ্রিক পারফরমেন্সে আমি খুশি।” গত মাসের তুলনায় এবার একদম ভিন্ন রূপের ইতালি দেখেছেন গাত্তুসো। “এক মাস আগেও আমরা অনেক বেখাপ্পা ফুটবল খেলেছিলাম। এখন পুরোপুরি বদলে গেছে দল। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই এখন মূল লক্ষ্য,” বলেন তিনি।
নভেম্বরের ম্যাচগুলোতে দল ঘুরিয়ে দেখারও ইঙ্গিত দিলেন ইতালির কোচ। “দলটা এখন ভালোভাবে অনুশীলন করছে, তাই যারা খুব একটা সুযোগ পায়নি, তাদেরও মাঠে দেখতে চাই। এটা আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতির অংশ হবে,” জানালেন গাত্তুসো। শেষে তিনি যোগ করেন, “ভ্রমণ অনেক হবে, কিন্তু মূলনীতি একটাই—জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা, যারা মাঠে ভালো করছে, তাদের জন্য।”
