
অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার (২৪ জুন) গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এক বিবৃতিতে সাবেক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তারা।
নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগ নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা জরুরি। কিন্তু সরকার চিকিৎসকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক ও অসাংবিধানিক আচরণ করছে। দলীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পরিহার করে সরকারকে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান নেতারা। অন্যথায় সরকার দায় এড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারও করেন তারা।
নেতারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৯ বছর। শর্তসাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও প্রবীণ বয়সেও খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারে অমানবিক পরিবেশেও তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন রোগের জটিলতায় তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন করে বসানো হয়েছে পেসমেকার। তার চিকিৎসক দল তার অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক। দেশের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে উপরন্তু একজন জেলবন্দি ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ।
তারা আরও বলেন, তার মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজন হলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জামিনে মুক্তি পাওয়াও তার নাগরিক অধিকার। কাজেই অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান নেতারা।