
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী অ্যানি অ্যালি। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সহযোগিতা চেয়েছে ইসি।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এই মন্ত্রীর বৈঠক শেষে ইসি সচিব এ তথ্য জানিয়েছে।
সচিব বলেন, অস্ট্রেলিয়ার একজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় দুই পক্ষই নির্বাচনের সময় এআই ইন্টারভেনশন, মিসইউজ অব ইনফরমেশন, ফেক ইনফরমেশন এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা এই সমস্যা মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চেয়েছি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী মূলত বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন– নির্বাচন কমিশন বা সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রস্তুতি কী এবং তারা কীভাবে এগোচ্ছে। ইসির পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। পাশাপাশি, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন ঘটনা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও দুই দেশের মধ্যে মত বিনিময় হয়। এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী তাদের নিজেদের নির্বাচনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। তবে, আলোচনায় কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়নি বলে জানান তিনি।
এআই ও মিসইনফরমেশনের বিষয়ে সচিব বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা উঠলে ইসির পক্ষ থেকে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) রোধে সহায়তার কথা বলা হয়। এই বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়– এটি একটি কমন প্রবলেম, যা উভয় দেশেই বিদ্যমান। আমরা এ বিষয়টি (প্রযুক্তির অপব্যবহার, ফেক ইনফরমেশন) নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা দিতে চাইলে, সেটা আমরা চাই বলেও জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ইউএনডিপি সহযোগিতায় ব্যালট প্রজেক্টে সহযোগিতা করছে এবং বাড়তি কোনো সহযোগিতার সুযোগ থাকলে সেটা আমরা তা বিবেচনা করব। তবে, কীভাবে বা কতটুকু সহযোগিতা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এই সৌজন্য সাক্ষাতে হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও ইসি সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যানি এ্যালি, মন্ত্রী, মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, মাল্টিকালচারাল অ্যান্ড স্মল বিজনেস।
এর সঙ্গে অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন– বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি, ঢাকা নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের উপমিশনপ্রধান ক্লিনটন প্লোবকে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব (ডিএফএটি) সারা স্টোরে এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব এন্থনি লিউ।