
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে উপাসনালয়কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মসজিদভিত্তিক কার্যক্রমের মতোই মন্দিরভিত্তিক কার্যক্রমও একই সুবিধার আওতায় পরিচালিত হবে। অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুবিধার্থে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক খুলনা জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, উপাসনালয়কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। আদিকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত উপাসনালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে সরকার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারি অর্থায়নে একটি মন্দির ও একটি স্নানঘাট নির্মাণ করেছে। অস্বচ্ছল মন্দিরসমূহে আর্থিক অনুদান প্রদানের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে মন্দিরে সৌর প্যানেল স্থাপনের পরামর্শও দেন তিনি।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ছাদেক আহমদ এবং খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ আসিনুজ্জামান সিকদার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সত্যানন্দ দত্ত। কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক প্রিয়াংকা সিকদার।
কর্মশালায় খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত ২৯০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। খুলনা জেলা কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সন্ধ্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জাপছাড়িয়া মডেল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।