
আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজধানীর পল্টন, ধানমন্ডি ও উত্তরায় চালু হচ্ছে ই-রিকশা। পর্যায়ক্রমে আরও বিভিন্ন এলাকায় এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ বলেন, এগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। গাড়ি এবং চালকের লাইসেন্স অনলাইনে করা হবে। যাতে অবৈধ লেনদেনের সুযোগ না থাকে। রিকশা অ্যাপ থাকবে, যেখানে সব নিয়ম থাকবে। রিকশাগুলো নির্দিষ্ট অঞ্চলে চলাচল করবে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে তাদের বড় অংশীদার মনে করি। তারা বৈধভাবে আয় করবেন, কেউ বাধা দেবে না।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আগস্টের প্রথম থেকেই নতুন এই রিকশা সড়কে চলবে। এক লাখ অটোরিকশা চালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লাইসেন্স দেওয়া হবে। পাশাপাশি চার্জিং পয়েন্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যেন অনুমোদিত পয়েন্টে চার্জ দেওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-রিকশা চলাচলের জন্য নীতিমালা তৈরি হয়েছে; যা সিটি করপোরেশন এলাকায় তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) চলাচল প্রবিধান, ২০২৫ নামে পরিচিত হবে। এই নীতিমালায় বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ই-রিকশা চলাচলে সাধারণ সড়ক ব্যবহার ও যাত্রী পরিবহন নিয়মাবলিতে বলা হয়– তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) শুধু সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ নির্ধারিত রাস্তায় চলাচল করবে।
এছাড়া হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বাস চলাচলের সড়কে এই ই-রিকশা চলাচল করবে না। সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ অনুমোদিত নয় এমন সড়কে চলাচল করবে না। ফুটপাতে চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ই-রিকশার চালকরা সর্বদা বাম লেনে চলাচল করবে এবং যানজট সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে। চালকদের ড্রাইভিং করার সময় মোবাইলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং জরিমানাযোগ্য অপরাধ। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত এলাকার বাইরে ই-রিকশা চলাচল করবে না। দুজনের বেশি যাত্রী বহন কিংবা অতিরিক্ত ভার বহন করবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওভারটেক এবং লেন পরিবর্তন করবে না। ই-রিকশায় উচ্চ শব্দের হর্ন বিশেষ করে ৪০ ডেসিবেলের ওপরে হর্ন বাজানো যাবে না।