জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন আগামী নির্বাচনে জাতি তাদেরকে লাল কার্ড দেখাবে। কেননা বিগত ৫৪ বছরের শাসনামলে রাষ্ট্রের শাসন, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা, কৃষি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ের সরকার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভিন্নমতের ওপর নির্যাতনসহ জনঅবস্থার অবনতি ঘটিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর আন্দুলিয়া ফুটবল মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হুসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম ও জাকসুর জি এস মাজহারুল ইসলাম।
বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, রাকসুর হবিবুর রহমান হল সংসদের ভিপি আহমদ আহসান উল­াহ ফারহান, জাকসুর কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালহা, মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু হানিফ আকুঞ্জি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, মহানগরী আমীর খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও গাউসুল আযম হাদী, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড. আবু ইউসুফ মোল্লা, খুলনা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি ও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ হরিদাস মন্ডল, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি বিএম আলমগীর হুসাইন, ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তরের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাওলানা মফিজুর রহমান, ধামালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাস্টার মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা মফিজুর রহমান। ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আহমদ আতাউল্লাহ সালমান। এ ছাড়া শেখ সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফা আল মুজাহিদ, ডাঃ সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, আব্দুল ওয়াদুদ সরদার, আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, ড. ইকরাম উদ্দিন সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহŸান জানিয়ে বলেন, “দিনের ভোট রাতে হলে তার পরিণতি কী হয়, দেশ তার মূল্য দিয়েছে। এবার কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে দায় এড়াতে পারবেন না।”
আগামী তফসিল ঘোষণার আগে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন তিনি। ভোটের দিন সকাল থেকে কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। কষ্ট করে আদায় করা ভোট কাউকে নিতে দেয়া হবে না।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, একটি দলের অন্তরকলহে ইতোমধ্যেই দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। সুতরাং যে দল নিজের দলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই দলের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, আগামীর বিপ্লব হবে ইনসাফের বিপ্লব। এজন্য তিনি ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল­ায় ভোট দেয়ার আহŸান জানান।