
ইরানের মূল পারমানবিক স্থাপনা ধ্বংসের যে দাবি মার্কিন সামরিক বাহিনী করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও দেশটির কট্টরপন্থি রাজনীতিবিদ বেজালেল স্মোতরিচ। তিনি বলেছেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্পের ক্ষয়ক্ষতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইসরায়েলের ‘অবদান’ বেশি।
ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দোরগোড়ায়— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য এলাকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের এ অভিযান শুরুর ১০ দিন পর ২৩ জুন মধ্যরাতে ইসরায়েলের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড এ অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘দ্য মিডনাইট হ্যামার’।
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ পরিচালনার একদিন পর ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানে ইরানের পরমাণু সক্ষমতার মূলে আঘাত হানা হয়েছে এবং দেশটির আর কখনও পরমাণু প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে না।
বুধবার ইসরায়েলি বেতার সংবাদমাধ্যম কান রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মোতরিচকে ট্রাম্পের এই দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না এটা সঠিক। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কতখানি ক্ষতি হয়েছে— তা এ মুহূর্তে কারোর পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। এই হিসেবটা করতে আরও সময় লাগবে।”
“তাছাড়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অবদান সবেচেয়ে বেশি। আমরা তাদের বিজ্ঞানী, তাদের আর্কাইভ এবং তাদের সক্ষমতাকে ধ্বংস করেছি।”
সাক্ষাৎকারে স্মোতরিচ বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের দীর্ঘ বৈরী সম্পর্কে একটি নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের উচিত নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
“আমরা এখন সংঘাত বন্ধ রেখেছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের এখন নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন এবং সেটি হতে পারে ইরানের ক্ষমতাসীন সরকারকে উচ্ছেদ করা; এবং এক্ষেত্রে আমাদের ইরানের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে”, বলেন স্মোতরিচ।